প্রযুক্তি পণ্য হতে পারে ভবিষ্যতের দুষ্প্রাপ্য ধাতুর উৎস। খনি থেকে সরাসরি আকর উঠিয়ে তা শোধনের চেয়ে অনেক দ্রুত ও কম খরচে পুরনো কম্পিউটার, মোবাইল ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিকস থেকে সিসা, ইরিডিয়াম, প্লাটিনাম এমনকি স্বর্ণও পাওয়া সম্ভব।
তবে এসব ধাতুর চেয়ে আরও বেশি প্রয়োজন বাতিল পণ্য থেকে অ্যালুমিনিয়াম আর তামা পুনরুদ্ধার করা। এমনিতেই খনিতে প্রতিদিন আকরের পরিমাণ কমেই যাচ্ছে। যদি এসব ধাতুর সঙ্গেই সেগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়, তাহলে খুব দ্রুতই বিশ্বে ধাতুর ঘাটতি দেখা দেবে।
এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাক্যারে বিশ্ববিদ্যালয় আর চীনের সিংঘুয়া বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে গবেষণা করছে। তাদের দাবি, ই-বর্জ্য বা বাতিল ইলেক্ট্রনিক্স থেকে ধাতু পুনরুদ্ধারে সরাসরি আকর শোধনের চেয়ে ১৩ গুণ কম টাকা ব্যয় হবে।
ই-বর্জ্যরে পরিমাণ দিন দিনই বাড়ছে। শুধু ২০১৬ সালেই উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টন ই-বর্জ্য। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ তা ৫ কোটি টন ছাড়াবে।
যেসব দেশ এখন থেকেই ই-বর্জ্য শোধনের কাজ শুরু করবে তারা যে আগামীতে প্রচুর লাভবান হবে তাতে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রটিতে সহজেই কাজ করতে পারবে।