কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) ক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচনা চলছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসার ভবিষ্যতে বিশ্ববাসীর জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে, না দুর্ভোগ বাড়াবে—তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিষয়টির উন্নতি করতে নানা ধরনের গবেষণা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। তবে, গবেষকেরা এবার শোনালেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরেক সক্ষমতার কথা। তারা বলছেন, মানুষের মৃত্যু কবে হতে পারে, এর পূর্বাভাস দিতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের চেয়ে ভালো ফল দেখাতে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি।
সম্প্রতি এ নিয়ে ব্রাসেলসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন ইউরোপীয় সংসদ। এতে অংশ নেন ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আজিজ আহমেদ ইউরোপীয় সংসদ সদস্য (এমইপি) ড্রাগোস টুডোরাচে, ইউরোপীয় সংসদ সদস্য (এস্তোনিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী) ড্যাসিয়ান সিওলোস, রিনিউ ইউরোপের সভাপতি (রোমানিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী) স্টিফেন সেজর্ন, ফ্রাঙ্ক আগস্টো জাম্পিনি, ভ্যাটিকান সিটিসহ অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অতিথিরা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর পরামর্শ শীর্ষক বৈঠকে নাগরিকদের মূল্যবোধ ও স্বাধীনতাকে অর্থনীতির বিকাশে রক্ষা করা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা থেকে কীভাবে কৃত্রিম গোয়েন্দা সমস্ত কিছু সম্পর্কে মানুষের চিন্তাধারাকে রূপান্তর করতে পারে সে সম্পর্কে আলোচনা হয়।
আজিজ আহমদ বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কাঠামো তৈরি করা আবশ্যক। তবে, অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে যেন তা মানবতার উন্নতি এবং সামাজিক কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। এখন এআই বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ শেষ মাইলের নাগরিক পরিষেবার জন্য ব্যবহার করছেন। কেএমপিজি এবং নেদারল্যান্ডস পৌরসভা এ জন্য কাজ করছে। এতে ডেটা সুরক্ষা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি বিস্তৃত কাঠামো থাকতে হবে এবং ভোক্তা তথ্য সুরক্ষার সঙ্গে একীকরণ করতে হবে।
ইউটিসি অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, পাঁচ-দশ বছরের লক্ষ্য নিয়ে কৌশলগত সাফল্যের জন্য এআই মোতায়েনে আমাদের প্রচেষ্টার জন্য জাতিসংঘের এসডিজিগুলোকে রক্ষা করা দরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নে আরও বেশি বেশি দেশ যোগ দিচ্ছে, এআইয়ের দক্ষতার সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য ভৌগোলিক অবস্থানগুলোকেও বিস্তৃত ইকো-সিস্টেমের মধ্যে আনা জরুরি।