তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (IIT DELHI), বিভিন্ন ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও ডিনগণের সাথে স্কুল অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি, এনআরএফ-এর অ্যাসিসটেক ল্যাব, 3D উইভিং এবং স্ট্রাকচারাল কম্পোজিটসের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। তিনি ইনস্টিটিউটের আন্তর্জাতিক অফিসের পরিচালক ও ডিনগণের সাথে মতবিনিময় করেন।
আলোচনাকালে তারা বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ ও দিল্লির আইআইটি কীভাবে যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির ডিজিটাল অগ্রগতি, সক্ষমতা এবং স্ব-নির্ভরতার অর্জনে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তিতে সক্ষমতা এবং স্ব-নির্ভরতার অর্জনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে।
ইনস্টিটিউটে পৌছালে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ইন্টারন্যাশনাল অফিসের ডিন, প্রফেসর নবীন গর্গ, অমর নাথ ও শশী খোসলা। স্কুল অফ ইনফরমেশন টেকনোলজিতে অধ্যাপক এম. বালকৃষ্ণ ল্যাবের সুবিধাগুলি প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
পরে, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আইআইটি দিল্লির ডিরেক্টর প্রফেসর রঙ্গন ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর অফিসে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে কীভাবে আইআইটি দিল্লি বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের সক্ষমতা অর্জনে যৌথভাবে কাজ করতে পারে এবং বাংলাদেশী তরুণদের আইআইটি দিল্লির গবেষণা সুবিধা কাজে লাগাতে পারে আলোচনায় সেসব বিষয়গুলো স্থান পায়।
এরপর বাংলাদেশের আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে ন্যানোস্কেল রিসার্চ ফ্যাসিলিটি (এনআরএফ) ল্যাবরেটরি ঘুরিয়ে দেখান সেখানকার সমন্বয়কারী অধ্যাপক নীরজ খারে। ল্যাবের স্বাস্থ্য, কৃষি, নিরাপত্তা, জ্বালানী শক্তি খাতের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে মাইক্রো-চিপ এবং ভিএলএসআই নকশার চ্যালেঞ্জগুলি সমাধানের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের খুঁটিনাটি অবহিত করেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর অফিসে প্রফেসর রঙ্গন ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রোবোটিক্স, সাইবার-সিকিউরিটি, সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিএলএসআই এর মতো অগ্রসরমান প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এবং ইকোসিস্টেম উন্নয়ন নিয়ে আলাপ হয় এই বৈঠকে।
বৈঠক শেষে আইআইটি-কে বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ এবং আইআইটি দিল্লির সাথে যৌথভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ৭টি প্রস্তাব দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
এ সুবিধাসমূহ কাজে লাগাতে উভয় দেশের উদ্যোক্তা এবং গবেষক, ফ্যাকাল্টি সদস্য এবং ছাত্রদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে আইটি সেক্টরে যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), রোবোটিক্স, সাইবার-সিকিউরিটি, সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ভিএলএসআই ইত্যাদি বিষয়ে ইকো-সিস্টেম তৈরি করে কিভাবে স্বনির্ভরতা অর্জন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উল্লেখিত বিষয় সমূহে ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষে দিল্লির আইআইটি ও বাংলাদেশের সাথে সমাঝোতা স্মারকের বিষয়ে প্রস্তাব করেন।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফট্ওয়্যার এন্ড সার্ভিস কোম্পানিস এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। এ সময় অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনএএসএসসিওএম এর মার্কেটিং ডেভেলপমেন্টের প্রধান অবনিত সামার, সিনিয়র ডিরেক্টর গগন সাবরাল, উপ প্রধান অনুক শর্মা।