ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি প্রকল্পের অধীনে জিআরপি (গভর্নমেন্ট রিসোর্স প্লানিং) সফটওয়্যারের অংশ হিসেবে প্রকিউরমেন্ট এবং এসেট ম্যানেজমেন্ট মডিউল তৈরির জন্য সকল স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে চাহিদা গ্রহণ করে বিস্তারিত এনালাইসিস করে সফটওয়্যার রিকোয়ারমেন্ট স্পেসিফিকেশন বা এসআরএস প্রস্তুত করা হয়েছে।
আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষ দিনব্যাপী এক পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিবিদদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তরে ব্যবহারের জন্য জিআরপি সিস্টেম তৈরি করা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ এবং একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এর উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার প্রধান, প্রকল্পের স্টেকহোল্ডারগণ, বুয়েটের মনোনীত পরামর্শক দল এবং সিনেসিস আইটির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ দু’টি মডিউল উন্নয়ন হলে এর মাধ্যমে ই-জিপির সাথে সমন্বয় করে সকল প্রকার কেনাকাটা খুব সহজেই সম্পন্ন করা যাবে এবং ক্রয়কৃত এসেটসমূহ যথাযথ ব্যবহার ও মেইন্টেনেন্স এ দক্ষতা বৃদ্ধি হবে। এভাবে অফিস অটোমোশন এবং পেপারলেস অফিস তৈরি করে দ্রুত সেবা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।
বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট ইআরপি পাইলট প্রকল্পের অধীনে প্রাথমিকভাবে আইসিটি ডিভিশনের ছয়টি সংস্থা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের চারটি সংস্থার জন্য মোট ৯টি মডিউল উন্নয়ন করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় এই জিআরপি বাস্তবায়ন করা হবে। কর্মশালায় সঞ্চালন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ড. অশোক কুমার রায়। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ৪৮ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।