ইন্টারনেটের দাম কমানো নিয়ে এবং বিটিআরসির সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সবে তিন-চারদিন হচ্ছে, সবকিছু আগে জেনে বুঝে নেই, তারপর জানাব। এখনো শিখছি। কয়েকদিন পর সব তথ্য জানাতে পারব।
১০ জানুয়ারি সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রথমবার অংশ নেন মোস্তাফা জব্বার। যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে তরুণদের জন্য কি সুবিধা থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফা জব্বার জানান, সেখানে আধুনিক সব সুবিধা রাখতে চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়া নতুন হিসেবে বিষয়টি কিছুটা জেনে তারপর জানানো হবে।
এদিকে বিটিআরসি সম্পর্কে বলেন, ‘খবরদারি’ করার জন্য নয় বরং বিটিআরসিকে সহযোগিতা করার জন্যই এসেছেন। তিনি বলে, আপনাদের যদি ধারণা হয়ে থাকে মোস্তাফা জব্বার আপনাদের বস হয়ে এসেছেন অথবা আপনাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসেছেন বা খবরদারি করার জন্য এসেছেন তবে ধারণাটা ঠিক না। আমি আপনাদের সহযোগিতা করার জন্য কাজ করব।
বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি কার্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তার সময়ে বিটিআরসির কাছে অন্যায় কোনো অনুরোধ করা হবে না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের দায়িত্ব সততা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করবেন। আমি আপনাদের কাছে অন্যায় কোনো অনুরোধ করব না। যদি আমি ভুলক্রমে করি তবে আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবেন আইনসঙ্গত নয়, আমি নিজেকে সংযত করে নেব। আমিও চাইব না আপনারা নীতি বা বিধানের বাইরে কোনো কাজ করেন। টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ইতিমধ্যে অনেক কাজ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে যা যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করা হয়েছে তা অসাধারণ। আমাদের দায়িত্ব তা সামনে নিয়ে যাওয়া। ডিজিটাল মহাসড়ক বানানোর যে দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ করতে বিটিআরসির সহযোগিতা চান মন্ত্রী।
এর আগে সকাল ১১ টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সভাকক্ষে ‘বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি’ বিষয়ে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় যোগদেন মন্ত্রী। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে মেয়েদের যদি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত ও সমান সুযোগ দেয়া হয় তাহলে তারা প্রযুক্তিতে অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারবে। বতর্মান আগের চেয়ে আইসিটিতে মেয়েরাও অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক ও মাসিক সি-নিউজ আলোচনা সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে।
আলোচনায় কী-নোট প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মরগুয়াব স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক ড. সামিনা এম সাইফুদ্দিন। দেশে আইসিটি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার জন্য মাসব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে এই গোলটেবিল সভার আয়োজন করা হয়।