ওয়েব দুনিয়ায় প্রচলিত সিস্টেম সুরক্ষাকে পাশ কাটাতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। তাই সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখতে বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন পড়ে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সিস্টেমে হানা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। তাই ফায়ারওয়াল ও সাইবার দুর্বৃত্তদের ঠেকানোর বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার পাশাপাশি ওয়েবসাইট ও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও আক্রমণ করছে দুর্বৃত্তরা। এক্ষেত্রে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল (ডাব্লিউএএফ) সাইবার দুর্বৃত্তদের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান ভেরিজনের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে সাইবার আক্রমণ বেড়েছে। মোট আক্রমণের ৩৫ শতাংশ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে ঘটছে। এ ধরনের আক্রমণ প্রতিরোধে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সুরক্ষা বা ডাব্লিউএফ ব্যবহার করা হয়। এসকিউএল ইনজেকশন, ক্রস সাইট স্ক্রিপটিং বা বিভিন্ন আক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে ডাব্লিউএফ।
বাংলাদেশি সফটওয়্যার ও সেবাপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আম্বার আইটি জানিয়েছে, অনিরাপদ ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাইবার দুর্বৃত্তদের জন্য সহজে সিস্টেমে ঢোকার পথ তৈরি করে এবং বিভিন্ন ধরনের আক্রমণ চালানোর সুযোগ করে দেয়। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে সুরক্ষা দিতে আম্বার আইটি নিয়ে এসেছে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি সার্ভিস নামের একটি বিশেষ ফায়ারওয়াল। এটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
এ সিস্টেমে কোনও ওয়েবসাইটের নিরাপত্তার ত্রুটি স্ক্যান, আইপি রেপুটেশন চেক, রিয়েল টাইমে আক্রমণের বিষয় জানা ও অ্যানালাইটিক টুল প্রভৃতি ফিচার আছে। এটি মূলত ক্লাউডভিত্তিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল যা অ্যাপ্লিকেশনে নিরাপত্তা বিষয়ক জটিলতা কমায় এবং দ্রুত আক্রমণ শনাক্ত করে অ্যাপ্লিকেশনের ও ওয়েব সাইট এর সুরক্ষা করে।
ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় এবং সহজ সমাধান হতে পারে।
ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোতে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকে যার নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে যার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এর সাথে দেশের ভাবমূর্তিও জড়িত। এই সেবা চালু করতে কোনও হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার কেনার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি একটি ক্লাউডভিত্তিক সেবা।