ছাত্ররা এমন এক গাড়ির নকশা বা ডিজাইন তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে যার মূল জ্বালানী বাতাস। অর্থাৎ গাড়িটি চলবে বাতাসে। মিশরের হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র এই গাড়ির ডিজাইন করে। এই স্নাতক শিক্ষার্থীরা হেলওয়ান ইউনিভার্সিটিতে তাদের স্নাতকের প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই গাড়ি বানিয়েছে। কমপ্রেসড অক্সিজেনে চলা এই যানের একটি প্রটোটাইপ বানিয়েছে তারা, এতে একজনের আসন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
শক্তি খাতে ভর্তুকি কমানোসহ বিভিন্ন দিক থেকে অর্থনৈতিক কাঠামো সংস্কারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মিশর। এসব পদক্ষেপের মধ্যে ২০১৬ সালের শেষে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এক হাজার দুইশ’ কোটি ডলারের তিন বছরের ঋণ প্রকল্পও যুক্ত।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের যান প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমটার বেগে চলতে পারবে আর এই গাড়িটিতে একবার বাতাস ভরে নেওয়ার পর ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। প্রতিটি গাড়ি বানাতে খরচ হয় এক হাজার ১০ মার্কিন ডলার যা প্রায় ১৮ হাজার মিশরীয় পাউন্ড।
শিক্ষার্থীদের একজন মাহমুদ ইয়াসির বলেন, “এই যান পরিচালনার খরচ… একদমই কিছু হবে না। আপনি মূলত কমপ্রেসড বাতাস ব্যবহার করছেন। আপনি জ্বালানির জন্য অর্থ পরিশোধ করছেন না আর এটি ঠাণ্ডা করারও দরকার নেই।” এই দল এখন এই প্রকল্প বিস্তৃত করতে ও এটি বড় পরিসরে উৎপাদন করতে তহবিল যোগানোর চেষ্টা করছে। তাদের বিশ্বাস তারা গাড়িটিকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শত কিলোমিটার বেগে চলা ও একবার বাতাস ভরার পর শত কিলোমিটার চলার সক্ষমতা দিতে পারবে।
শিক্ষার্থীরা এই প্রোটোটাইপ থেকে পূর্ণাঙ্গ গাড়ির তৈরির পরিকল্পনা করছে এখন। এরজন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে দলটি। তাদের লক্ষ্য এমন একটি গাড়ি তৈরি করা যা ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি উৎপন্ন করতে সক্ষম। এছাড়াও একবার বাতাস ভরে নেওয়ার পর একটানা ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে এই গাড়ি; এমন পরিকল্পনাই তাদের।
তথ্যসূত্রঃ এনডিটিভি