অবশেষে জনপ্রিয় ইন্টারনেটভিত্তিক বার্তা প্রেরক সেবা ইয়াহু মেসেঞ্জার অবশেষে বন্ধ হয়ে গেল। ইনস্ট্যান্ট এই ম্যাসেজিং সার্ভিসটি অ্যাপভিত্তিক ম্যাসেজিং সেবা বা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই পেরে উঠছিল না। তাই নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল গেল জুন মাসে। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায়ই গতকাল ১৭ জুলাই বন্ধ হয়ে গেল।
একসময়ের জনপ্রিয় এই চ্যাটিং সেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য মানুষের স্মৃতি। তাদের অনেকেই নিজেদের অতীত স্মৃতির কথা প্রকাশ করছেন বর্তমানে শীর্ষে থাকা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ইয়াহু কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৭ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ইয়াহু মেসেঞ্জারের সেবা। এ ছাড়াও, ইয়াহু মেসেঞ্জারের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, “দারুণ এক যাত্রা ছিল ইয়াহু মেসেঞ্জারের। ২০ বছরের যাত্রায় সেবাটি উপভোগ করেছেন কোটি কোটি মানুষ। লাখো মানুষের জীবন বদলে দিয়েছিল সেবাটি, লাখো মানুষ এই সেবার মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন, ছবি পাঠিয়েছেন।”
জেরি ইয়াং ও ডেভিড ফিলোর যৌথ প্রয়াসে ১৯৯৮ সালে ইয়াহু পেজার আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৯৯ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় ইয়াহু মেসেঞ্জার। ইমেল এবং এসএমএসের দৌড়ে এগিয়ে যেতে থাকে ইয়াহু মেসেঞ্জার। প্রথমে এটি ব্যবসায়ীদের কাছে জনপ্রিয় হতে থাকে। তার প্রধান কারণ ছিল এটির মাধ্যমে বিনামূল্যে কথা বলা যেত। ২০০৯ সালে এর ব্যবহারকারী হয় ১২২.৬ মিলিয়ন।
ইয়াহু ম্যাসেঞ্জার বন্ধ করলেও আরেক বিবৃতিতে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরেকটি মেসেজিং অ্যাপ তৈরি করছে তারা। ওই অ্যাপটির নাম ‘স্কুইরেল’। ইয়াহু মেসেঞ্জারের বদলি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে অ্যাপটি।
ইয়াহু মেসেঞ্জারের সর্বশেষ মালিকানা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভেরিজনের ওথ কোম্পানির অধীনে। ইয়াহু মেসেঞ্জারের মালিকানাধীন ওই প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের এখনও ইয়াহুতে চ্যাট হিস্টোরি রয়েছে, তারা আগামী ছয় মাস পর্যন্ত তা ডাউনলোডের সুযোগ পাবেন। এরপর আর ওয়েবে থাকবে না ইয়াহু মেসেঞ্জার।