এক বছরে ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার মাইলফলক ছুঁয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে স্মার্টফোন বিক্রির নতুন রেকর্ড করে প্রযুক্তিনির্মাতা এ প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ জানায়, বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছ থেকে পি-২০, মেট-২০ সিরিজ এবং অনার-১০ স্মার্টফোনের ব্যাপক চাহিদার কারণে নতুন রেকর্ড ছুঁতে পেরেছে তারা। প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য যুঁতসই পি-২০ সিরিজের ফোন গত মার্চে বিশ্ববাজারে আসার পর সবার মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে ১৬ মিলিয়ন ফোন শিপমেন্ট করা হয়।
এরপর হুয়াওয়ে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মেট ২০ সিরিজের ফোন নিয়ে আসে যাতে কিরিন ৯৮০ চিপসেট ব্যবহার করা হয়। ফোনটিতে ৭ ন্যানোমিটার প্রসেসর ছাড়া পাওয়ারফুল এ৭৬ বেইজ+জি৭৬ আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়। অক্টোবরে বাজারে আসার মাত্র দুই মাসের মাথায় ৫ মিলিয়নের বেশি ইউনিট স্মার্টফোন শিপমেন্ট করা হয়। এখনও এর চাহিদা তুঙ্গে।
আর তরুণদের জন্য হালের ক্রেজ হুয়াওয়ে নোভা সিরিজের ফোন চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ৬৫ মিলিয়ন শিপমেন্ট হয়েছে। মধ্যম বাজেটের এই ফোনটি এখনও বাজারে আধিপত্য ধরে রেখেছে।
হুয়াওয়ের সব সিরেজের ফোনই বাজারে আসার অতি অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত হ্যান্ডসেটগুলো ব্যাটারি, চার্জিং, ফটোগ্রাফি, যোগাযোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য অনন্য। তাই মানুষের মন জয় করতে বেশি সময় নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ইপসস (IPSOS) জানায়, হুয়াওয়ে গ্রাহকদের মন জয় করে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড হিসেবে ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিয়েছে। এর সময়োপযোগী উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দ্রুত মানুষের আস্থা অর্জন করেছে যা হুয়াওয়েকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ সালে যেখানে মাত্র ৩ মিলিয়ন ফোন বিক্রি হয়েছিল, ২০১৮ সালে এসে সে সংখ্যা দাঁড়ায় ২০০ মিলিয়ন অর্থাৎ এই আট বছরে ৬৬ গুণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে হুয়াওয়ের। আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে হুয়াওয়ের মার্কেট শেয়ার ছিল ১৪.৬ শতাংশ যা হুয়াওয়েকে বৈশ্বিক বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে নিয়ে আসে। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশে ৫০০ মিলিয়ন লোক হুয়াওয়ের ওপর আস্থা রেখে স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ইউ বলেন, “গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতে হুয়াওয়ে ‘গ্রাহক-কেন্দ্রিক’ সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকবে এবং ভবিষ্যরে স্মার্টফোন শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হুয়াওয়ে কাজ করবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের জীবনমানের উৎকর্ষ সাধন করে সবার মন জয়ের মাধ্যমে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হওয়ার জন্য কাজ করে যাবে হুয়াওয়ে।”