জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)সহ আশপাশের এলাকায় অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতায় কাজ করার প্রত্যয় করেছেন ২০০ জন তরুণ। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়ে তারা এ প্রত্যয় করেন। বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকার দুই শতাধিক তরুণের অংশগ্রহণে ‘চ্যাম্পিয়ন মিটআপ অ্যান্ড লিডারশিপ ট্রেইনিং’ অনুষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন, সুরক্ষার কৌশলসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সকাল ১০টায় কর্মশালার উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট প্লাজমা বিজ্ঞানী ড. এ এ মামুন। সংগঠনের স্টুডেন্ট সেলের সমন্বয়ক মো. সানিউল হক সাঈদের সভাপতিত্বে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষক মো. মেহেদী হাসান ও সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ। কর্মশালা শেষে বিকেলে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদ তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর ড. শরিফ হোসেন।
ড. এ এ মামুন বলেন, প্রতিদিন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। এর ভালো ও খারাপ দুটো দিকই আছে। তরুণ প্রজন্ম নিজেরা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জানতে হবে এবং অন্যদের জানাতে হবে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার বিকল্প নেই। আয়োজকরা জানান, স্বেচ্ছাসেবী এই কার্যক্রম আগামী ২০ মে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করছে। এ উপলক্ষে সমাজে সাইবার সচেতনতায় নেতৃত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। পরে সংগঠনের জাবি চ্যাপ্টারের ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ড. শরিফ হোসেনকে কমিটির উপদেষ্টা এবং গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আহসান হাবীবকে আহ্বায়ক ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাজেদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতার প্রত্যয় ২০০ তরুণের
previous post