জয়ী সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে শেষ হলো দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য উই সামিট ২০২২। জয়ী এওয়ার্ড বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। এবছর দুইটি ক্যাটাগরিতে জয়ী সম্মাননা প্রদান করা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনের জন্য এই সম্মাননা পান মেহজাবিন চৌধুরী, প্রফেসর ড: সায়েবা আক্তার, রুবাবা দৌউলা, রুবানা হক, এম.এস.সাবিনা খাতুন, ড: সেজ্যুতি সাহা, শমী কায়সার, সোনিয়া বশির কবির, আনজানা খান মজলিস ও আজমেরী হক বাঁধন।
উদ্যোক্তাক্ষেত্রে দ্যুতি ছড়ানোর জন্য এই সম্মাননা পান ইফাত সোলাইমান লুবনা, মাহবুবা আক্তার জাহান
মুক্তা আক্তার, জ্যোৎস্না আখতার রেণু, মিস সুরাইয়া মোরশেদ, সোহাইব রুমি, সুলতানা পারভিন, তাহিয়া সুলতানা রেশমি, তাশফিয়া ত্রিনয়, রাজিয়া সুলতানা
অনুষ্ঠানে মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলেন,” জয়ীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা আজ জয়ী এওয়ার্ড পেতে যাচ্ছেন তাদের শুধু সফলতার দিকটা দেখলেই হবেনা,যে কষ্ট পরিশ্রম করে তারা এই পর্যায়ে এসেছেন সেগুলোকেও সামনে আনতে হবে,তাহলে সবাই অনুপ্রেরণা পাবে সবাই।জয়ী এওয়ার্ড পাওয়া সকল উদ্যোক্তাদের উষ্ণ অভিনন্দন।”
তিনি আরো বলেন,” এবারের এওয়ার্ডে আমরা দেশের সব স্তরের সফল নারীদের একটি জায়গায় পেয়েছি। আমরা পেয়েছি অভিনয় জগতে যারা সফল,আমরা পেয়েছি সফল একজন বিজ্ঞানীকে,আমরা পেয়েছি ক্রীড়া ক্ষেত্রে,ব্যবসা ক্ষেত্রে সেরা কিছু মানুষদের।
আজ এখানে উপস্থিত সকল নারী উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা কেউ ব্যবসা আয়তনে কতো বড় তা নিয়ে পড়ে থাকবেন না। আপনার ব্যবসা যদি আপনার এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা পালন করে,তবেই আপনি সফল। চারটি “প” সবসময় মাথায় রাখবেন, “পূজিঁ, প্রশিক্ষণ, প্রগতি, প্রযুক্তি।”
ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এর We-Fi প্রজেক্ট লিড হোসনা ফেরদৌস সুমি বললেন,” ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সবসময় আইনগত ভাবে সৎ থাকবেন। ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক একাউন্ট বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে হয়তো ব্যবসা করতে পারবেন,কিন্তু বড় ব্যবসায়ী হতে পারবেন না।”
এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা এবং উই এর ওয়ার্কিং কমিটি ডিরেক্টর ইমানা হক জ্যোতি সহ প্রমুখ।
এওয়ার্ড প্রদান শেষে জমকালো সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হয় উই সামিট ২০২২।
আয়োজনের মূল সহযোগী বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্ট উই-ফাই এর সহযোগীতায় অনুষ্ঠেয় দুইদিনের আয়োজনের অভিব্যক্তি জানাতে গিয়ে উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা বলেন
,”২০১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত উই এর পথচলায় পাশে পেয়েছি অনেক মানুষকে। আমাকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দিয়েছে উই এর উদ্যোক্তারা,তাদের অনুপ্রেরণা, তাদের মহৎ কর্মে আজ দেশের সবচেয়ে বড় নারী উদ্যোক্তা কমিউনিটি হয়েছি আমরা।ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর প্রতি,শুরু থেকেই একদম সর্বাত্মক সহযোগীতা পেয়েছি তার থেকে।
উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা থেমে থাকবেন না,আপনারা দেশকে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন দারুণভাবে। ”
এর আগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুভ উদ্বোধন হলো উই সামিট ২০২২ এর। উদ্বোধন করেন মাননীয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি।
প্রায় ১৩ লাখ সদস্যের এই ফেসবুক গ্রুপ গত ২০১৭ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে। দেশের নারী উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় কমিউনিটি উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট-উই’র মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ৪ লাখ নারী উদ্যোক্তা হয়েছেন। আর এই নারী উদ্যোক্তাদের নিয়েই প্রতিবছর উই এর চমৎকার আয়োজন উই সামিট, দেশের নারী উদ্যোক্তাদের এক অনন্য মিলনমেলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ব্যাংক এশিয়ার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান মোল্লা, উইয়ের উপদেষ্টা ও সিল্কক গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৌম্য বসু, স্টার টেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানা খান ,সরকারের আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, এবং উইম্যান এন্ড ইকমার্স ট্রাস্ট এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা।
আয়োজনের মূল সহযোগী হিসেবে ছিলো বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্ট উই-ফাই। উইমেন এন্টারপ্রেনারস ফাইন্যান্স ইনিশিয়েটিভ (উই-ফাই) হল একটি বিশ্বব্যাংকের একটি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প যা নারী এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারের সুযোগ তৈরি নিয়ে কাজ করে।
প্রথমদিনের আয়োজনের বিকালের পর্বে উই উদ্যোক্তাদের সাথে যুক্ত হন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি। নারী স্বাবলম্বীকরণে উই এর ভূমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পুরো আয়োজনের সহযোগী হিসেবে রয়েছে আইসিটি বিভাগ, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ-সিসিএ, বিকাশ, ব্যাংক এশিয়া, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার।