বাংলাদেশে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটর্স গ্রুপের (সেনগ) ৩২তম সম্মেলন (বিডিনগ৯) ২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ৯ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান চলছে। পুরো আয়োজনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেনগ-৩২ ওয়ার্কশপ প্রোগ্রাম, সেনগ-৩২ টিউটোরিয়াল ও সেনগ-৩২ কনফারেন্স।
সেনগ-৩২ টিউটোরিয়াল প্রোগ্রাম চলেছে ৫ দিনব্যাপী, এতে প্রায় ১৪০ জন পার্টিসিপেন্ট ছিল। বিভিন্ন দেশ থেকে ফেলো হিসেবে ৩০ পার্টিসিপেন্টকে আনা হয়েছে, বাইরের ২০ জন পার্টিসিপেন্ট অংশ নিয়েছেন নিজস্ব উদ্যোগে, বাকি সবাই আমাদের লোকাল পার্টিসিপেন্ট। অর্থাৎ ১৪০ জনের মধ্যে ৯০ জনের মতো আন্তর্জাতিক পার্টিসিপেন্ট এবং ৬০ জন লোকাল পার্টিসিপেন্ট।
সেনগ-৩২ টিউটোরিয়াল প্রোগ্রাম চলেছে ৩টি ট্র্যাকে। প্রত্যোকটা ওয়ার্কশপে পার্টিসিপেন্ট ৪০ জনের মতো। এখানে ১২০ জনের মতো পার্টিসিপেন্ট।
আমিনুল হাকিম বলেন, আর সেনগ-৩২ কনফারেন্স লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল পার্টিসিপেন্ট মিলিয়ে প্রায় ৩৭০ জন থাকবে। কনফারেন্সের উদ্শ্যে, টেকনোলজি ও নলেজটা শেয়ার করা। অন্যান্য দেশে আইসিটিতে কি পলিসি হচ্ছে, নতুন কি টেকনোলজি আসতেছে, সুবিধা-অসুবিধা কি। যেহেতু আমাদের বাংলাদেশর জনসংখ্যা অনেক বেশি, নতুন টেকনোলজিগুলো যদি আমরা ইনক্রিমেন্ট করতে পারি, তাহলে সরকার যেটা চাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত করতে, সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত করাটা অনেক সহজ হবে। কারণ আমরা সবাই টেকনোলজিকে খুব ভালোবাসি, আমাদের আইসিটি সেক্টরে যারা আছে এবং সাধারণ মানুষও নতুন কোনো টেকনোলজি আসলে তা গ্রহণ করতে খুব বেশি সময় নেয় না।
সুমন আহমেদ সাবির বলেন, অন্যান্য দেশে যদি একদিন নেয়, আমাদের দেশে দেখা গেছে কিছু ক্ষেত্রে আরো কম সময়ে আমরা তা অ্যাডপ্ট করতে পারি। তাই আমার মনে করি, বাংলাদেশে নেটওয়ার্কিং নিয়ে এতো বড় একটা আয়োজন যে হচ্ছে, এর ফলে আমাদের দেশ অবশ্যই উপকৃত হবে। আমাদের নেটওয়ার্কিংটা অন্যান্য দেশের সঙ্গে অনেক বেড়ে যাবে। কোনো দেশই কিন্তু একক ভাবে চলতে দপারে না। প্রত্যোকটা দেশকেই আরেকটা দেশের বা অন্যান্য দেশের মানুষজন ও টেকনোলজির সঙ্গে যোগাযোগ করে চলতে হয়। এই যোগাযোগটা রক্ষা করার জন্যই আসলে আমাদের এই নেটওয়ার্কিংটা।
সম্মেলনটির আয়োজক হিসেবে রয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।