‘প্রাণঘাতী নতুন রোগ আসছে বিশ্বে। যা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়বে দেশে দেশে। অপ্রতিরোধ্য এ রোগের কারণ বুঝে আগেই ৬ মাসের মধ্যে ৩ কোটি লোক মারা যেতে পারে। আগামী দশকের মধ্যে সহজেই এটা ঘটতে পারে। এ মরণব্যাধি মোকাবেলায় বিশ্ব প্রস্তুত নয়। শুক্রবার ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল সোসাইটি ও দি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন আয়োজিত মহামারী বিষয়ক এক আলোচনায় এ চরম হুঁশিয়ারি দেন বিল গেটস ।
বিল গেটস সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী শিশুদের দারিদ্রমুক্ত করছি এবং পোলিও ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগ নির্মূলে ভালো করছি। কিন্তু একটি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বিশ্ব বেশি এগোতে পারেনি। তা হচ্ছে মহামারি বিষয়ে প্রস্তুতি। এ ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব জনসংখ্যা বাড়ছে এবং মানব সমাজ বন্য পরিবেশের দিকে অগ্রসর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সব সময় নতুন জীবাণুর উদ্ভব ঘটছে।
একক ব্যক্তি বা একটি ক্ষুদ্র দলের জন্য রোগকে অস্ত্র হিসেবে সৃষ্টি করা সহজ হচ্ছে যা দাবানলের মতো বিশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। গেটসের মতে, রাষ্ট্র ছাড়াই ক্ষুদ্র কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান একটি গবেষণাগারে গুটি বসন্তের প্রাণঘাতী রূপ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্তঃসংযোগ সম্পন্ন বিশ্বে মানুষ সব সময় বিমানে উড়ছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক মহাদেশের এক নগর থেকে অন্য মহাদেশের আরেক নগরে যাচ্ছে।
বিল গেটস ইনস্টিটিউট ফর ডিজিজ মডেলিং-এর একটি রিপোর্টের অনুলিপি উপস্থাপন করেন। তাতে দেখা যায়, ১৯১৮ সালে প্রাদুর্ভাব ঘটা এক মহামারি ফ্লু যাতে পাঁচ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল সে রকম একটি নতুন ফ্লুতে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।