লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই ঢাকা ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ফোরজি সেবা চালু করেছে গ্রামীণফোন।সোমবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে গ্রামীণফোনসহ চার অপারেটরের কাছে ফোরজি লাইসেন্স হস্তান্তর করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।এরপর গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি অনুষ্ঠানস্থল থেকেই ফেইসবুক লাইভে এসে ফোরজি চালুর ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি সিইও ইয়াসির আজমান জিপিহাউজে কর্মীদের নিয়ে ফোরজি উদ্বোধন উদযাপন করেন।সোমবার ঢাকার বসুন্ধরা, বারিধারা এবং গুলশান এলাকাসহ চট্টগ্রামের দামপাড়া, খুলশী এবং নাসিরাবাদে ফোরজি সেবা চালু করে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটরটি। যেখানে সাত শতাধিক বিটিএসে এই সেবা দিতে শুরু করেছে অপারেটরটি।আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আরো এলাকা এই সেবার আওতায় আসবে। বেশিরভাগ বিভাগীয় শহরে শিগগিরই ফোরজি চালু করবে বলেও জানায় অপারেটরটি। এমনকি আগামী ছয় মাসের মধ্যেই সব জেলা শহরে ফোরজি পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে।
ফোরজি চালুর সময় গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে ফোরজি চালু একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা গ্রাহকদের সেরা ফোরজি সেবা দিতে চাই, যা আমাদের ফোরজি রোলআউট পরিকল্পনা রয়েছে তা নিশ্চিত করবে।এর আগে গ্রামীণফোন নিলামে ১৮০০ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্ডজ স্পেকট্রাম কিনেছে।নতুন স্পেকট্রাম এবং বিদ্যমান স্পেকট্রামে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা গ্রামীণফোনকে ফোরজি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে একটি শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে বলে বলছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।আর প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার ফলে গ্রামীণফোন তার ৯০০, ১৮০০ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের স্পেকট্রামে আরো দক্ষতার সঙ্গে ভয়েস ও ডেটা সেবা দিতে পারবে।
গ্রামীণফোন জানায়, ফোরজি বিস্তার হলে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নের ফলে গ্রাহকরা এইচডি ভিডিও, লাইভ টিভি স্ট্রিমিং, ঝকঝকে ভিডও কল আর দ্রুতগতির ডাউনলোড উপভোগ করতে পারবেন।গ্রামীণফোন ফোরজির অভিজ্ঞতা পৌঁছে দিতে শনিবার দুটি মোবাইল ব্র্যান্ডের সঙ্গে কো-ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডসেট নিয়ে এসেছে।