সরকার নিজের ব্যবহারের জন্য দেশে উৎপাদিত কম্পিউটার ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন নতুন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আর এ ক্ষেত্রে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনের মতো পণ্য প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার খাতকে উৎসাহিত করতে সরকারি কাজে দেশে তৈরি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হবে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক পার্কে দেশের প্রথম কম্পিউটার ও ল্যাপটপ কারখানা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মোস্তফা জব্বার।
এই কারখানায় রয়েছে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার ডিজাইন ডেভেলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব। এতে ব্যবহূত হয়েছে জাপানি ও জার্মান প্রযুক্তির মেশিনারিজ।
প্রাথমিকভাবে কারখানাটিতে মাসে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার ইউনিট ল্যাপটপ, ৩০ হাজার ইউনিট ডেস্কটপ এবং ৩০ হাজার ইউনিট মনিটর। পর্যায়ক্রমে কম্পিউটারের অন্যান্য অ্যাক্সেসরিজসহ পেনড্রাইভ, কিবোর্ড এবং মাউস উৎপাদনে যাবে ওয়ালটন। ওয়ালটনের এই কারখানায় তৈরি হবে ইন্টেলের সর্বশেষ প্রজন্মের প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ। উৎপাদন হবে ৬ মডেলের ওয়ালটন ডেস্কটপ এবং ২ মডেলের ওয়ালটন মনিটর।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে সরকার দেশে উৎপাদিত কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সরকারি ব্যবহারের জন্য কিনবে। ওয়ালটন যেহেতু দেশে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ উৎপাদন শুরু করেছে তাই সরকারি কম্পিউটার ক্রয়ে ওয়ালটনকে প্রধান্য দেয়া হবে।’
বাংলাদেশে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ল্যাপটপ উৎপাদন শুরু করেছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ালটন দেশে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ উৎপাদনের মাধ্যমে নতুন মাইল ফলকের সূচনা করেছে। এক সময় আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারতাম না দেশের উৎপাদিত কম্পিউটার দেশের জনগণ ব্যবহার করবে। ওয়ালটন সেটি করে দেখাল।’
‘ডেল, এইচপির মত বৃহৎ তথ্য প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও মাদারবোর্ড তৈরি করে না। অথচ ওয়ালটন শুরুতেই মাদারবোর্ড তৈরি করছে।’