তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন করোনা মহামারীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কার্যকারী ভূমিকা রেখেছে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং স্টার্টআপ।
প্রতিমন্ত্রী আজ ভার্চ্যুয়ালি ইউএনডিপি আয়োজিত এসডিজি স্টার্টআপ ভিত্তিক অ্যাক্সিলেটর প্রোগ্রামে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময়ে প্রতিক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবনী চিন্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিযোগীতায় জয়ী দলগুলোর উদ্ভাবনী ভাবনা বাংলাদেশ ও উগান্ডায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৩৯ হাইটেক পার্ক, ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ,৩০০টি স্কুল অব ফিউচার, ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বর্তমান সরকার দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এর ফলে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তিনির্ভর ,উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করবে।
এক্সেলেটর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ভালো সোশ্যাল ইন্টারপ্রাইজ, ফান্ডফিনা, মাইক্যাশ, স্বাধীন, ডব্লিউএইচআরআরএল, অ্যাগ্রো সাপ্লাই, বোরলাগ, ফালমিংগো ফুড ,ফোর ফার্মিং এবং নাফিয়া ফার্মারস মার্কেট এর প্রতিনিধিগণ।
স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন তুরষ্কের বিদেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং ইইউ বিষয়ক পরিচালক অ্যাসেন আলটু ,অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন উগান্ডার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক মন্ত্রী ড. মনিকা মনিকা মুসেনেরো, ইউএনডিপির তুরস্কের আবাসিক প্রতিনিধি লুইসা ভিটন এবং ইউএন টেকনোলজি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোশুয়া সেতিপা।
পরে,অ্যাক্সিলেটর প্রোগ্রামে ৪ স্টার্টআপকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীন ও ভালো সোশ্যাল ইন্টারপ্রাইজ এবং উগান্ডার ফালমিংগো ফুড ও নাফিয়া ফার্মারস মার্কেট।