নতুন প্রযুক্তির ইসিমের ওপর ২০০ টাকা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসবে। পাশাপাশি অন্যান্য সাধারণ সিমের ওপর আগের মতোই ২০০ টাকা ভ্যাট আরোপ আছে।
২১ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো গ্রাহকদের কাছে সিম বিক্রি করে বিভিন্ন সেবা দেয়।
সব কটি মোবাইল ফোন অপারেটর বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) অধীন। এনবিআর ইতিমধ্যে ভ্যাটের এলটিইউ কমিশনারকে এই নতুন নির্দেশনা জানিয়ে দিয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, ই-সিম সাধারণ সিম সরবরাহকারী হিসেবে সংজ্ঞাভুক্ত হবে।
২০১৯ সালে সিম সরবরাহের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা করে কর আরোপ করা হয়। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো সিম বিক্রির ওপর এই কর সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। এ ছাড়া সিম হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে পুনঃস্থাপন বা রূপান্তরের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা করে কর রাখা হয়।
গত মাসে ই-সিম বিক্রি শুরু করবে দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।
ইসিম হলো নতুন প্রযুক্তি। সাধারণ সিমের মতো একেবারেই নয় ই-সিম। সাধারণ ফোনে প্লাস্টিক চিপের পরিবর্তে যেটি আপনি চাইলেই ফোন থেকে বের করতে পারেন, তেমনটা নয় ইসিমে। এটি ফোনের ভেতরকারই একটি অংশ যা আপনি ফোন থেকে খুলে ফেলতে পারবেন না।ই-সিম মানে এম্বেডেড সিম, অর্থাৎ একধরণের সিম, যেটা ব্যবহার করতে ফোনে কোনও রকম সিম কার্ড ঢুকাতে হয় না। এতে প্লাস্টিকের ব্যবহারও কম হয়।