জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও-শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটক নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি কমিউনিটি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশি তরুণদের নলেজ শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইয়ুথ পলিসি ফোরামের (ওয়াইপিএফ) সঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, বিশেষ করে যারা প্রথমবার ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন, তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকে নিরাপদ করতে এবং টিকটক অ্যাপের মধ্যে থাকা বিভিন্ন সেফটি ফিচার সম্পর্কে জানাতে টিকটক ইয়ুথ পলিসি ফোরামকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে।
এ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে প্রস্তাব করা হয়েছে টিকটকের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার জন্য দেশের ব্যবহারকারীদের নিয়ে কয়েক ধাপে কর্মশালার আয়োজন করা— টিকটককে একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে তৈরি করা এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করা; সে সঙ্গে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে ইতিবাচক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা।
টিকটক নিয়ে সাধারণের যে উদ্বেগ তা মোকাবিলা করা এবং সামাজিক মাধ্যামের দায়িত্বশীল ব্যবহার সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের আরও জানাতে ওয়াইপিএফকে সঙ্গে নিয়ে টিকটক একাধিক সংলাপ, ক্যাম্পেইন এবং কর্মশালা পরিচালনা করবে। প্রথম পর্যায়ের সংলাপটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ (৬ জানুয়ারি)।
টিকটক-ওয়াইপিএফ অংশীদারত্ব একটি নিরাপদ ভার্চুয়াল পরিবেশকে সহজ করবে এবং উন্নত ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করবে। কর্মশালা ও ক্যাম্পেইনগুলোর উদ্দেশ্য হলো অংশগ্রহণকারীদের কনটেন্ট তৈরি ও ডিজিটাল শিক্ষার ব্যাপক উন্নতি সাধন। এটি তরুণদের শক্তিশালী করবে এবং তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শক্তিকে সঠিক কাজে ব্যবহার করতে আরও উদ্বুদ্ধ হবে।
বাংলাদেশি যুবসমাজের জন্য নলেজ শেয়ারিং প্লাটফর্ম হলো ইয়ুথ পলিসি ফোরাম, যা জাতীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তরুণদের অবগত ও আলোচনা করার সুযোগ দেয়। এ ফোরামের উদ্দেশ্য হলো যুব সমাজকে নীতির সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা এবং একটি ইনটেলেকচুলায় পুল তৈরি করা, যাতে সম্ভাবনাময় তরুণরা দেশের বিভিন্ন খাতের পলিসি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে ও বিকল্প পলিসি তৈরি করতে সক্ষম হয়।
মাঠ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ, তরুণ পেশাদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ ১০০ জনের বেশি সদস্যের মূল দল নিয়ে গঠিত ওয়াইপিএফ অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ সংসদ সদস্য, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
টিকটক হলো একটি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম যা সারা বিশ্বের লাখ লাখ কনটেন্ট নির্মাতা ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে, তাদের সৃজনশীলতাকে উদ্বুদ্ধ করেছে, বিনোদন দিচ্ছে এবং জীবিকার নতুন উপায় তৈরি করছে।
একটি নির্ভরযোগ্য প্লাটফর্ম হিসেবে টিকটক সবসময়ই তার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়েছে। সম্প্রতি টিকটক বাংলাদেশে তাদের সেফটি সেন্টার চালু করেছে, যা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় নিরাপত্তা পলিসি ও বিভিন্ন রিসোর্সে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে একটি ওয়ান স্টপ ডেস্টিনেশন হিসেবে কাজ করছে।
টিকটকের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন পলিসি সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন- https://www.tiktok.com/safety/