ওয়ালমার্ট ১,৬০০ কোটি ডলারে ভারতের জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফ্লিপকার্টের ৭৭% অংশীদারি পকেটে পুরছে। অনেকের মতে, এতে ভারতের নেট বাজারে পা রাখতে পারল ওয়ালমার্ট। ২০২৬ সালের মধ্যে যার অঙ্ক দাঁড়াতে পারে ২০,০০০ কোটি ডলার। এ দেশের সম্ভাবনাময় বাজারে, যেখানে নিয়মের জন্য খুচরো বিপণি খুলতে পারেনি তারা, সেখানে সরাসরি ক্রেতার কাছে পৌঁছনোর সুযোগ খুলছে তাদের সামনে।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এমন একটা সংবাদের সত্যতার ভিত্তি পেল। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথম শোনা যায়, ওয়ালমার্ট ফ্লিপকার্টের অধিকাংশ শেয়ার কিনে নিচ্ছে। কিন্তু এমন কথাকে ‘গুজব’ বলে সবসময়ই উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়ালমার্ট ফ্লিপকার্টকে কেনার কথা নিশ্চিত করেছে।চুক্তির ফলে ফ্লিপকার্ট ভারতে অ্যামাজনের বাজারে বড় ধরনের বাধা দিতে সক্ষম হয়। কারণ, এর আগে চীনা ই-কমার্সটি ফ্লিপকার্টের শেয়ার ধীরে ধীরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছিল।
২০১৪ সালে যখন ফ্লিপকার্ট যাত্রা করে তখন অ্যামাজনের তাতে শেয়ার ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮ সালে এসে ফ্লিপকার্টে অ্যামাজনের শেয়ার দাঁড়ায় ৪৮ শতাংশে। ধারণা করা হচ্ছিল, ফ্লিপকার্টকে কিনে নেবে অ্যামাজন। আর এর মধ্য দিয়ে ভারতে তাদের ব্যবসার বড় ধরনের প্রসার করবে।চুক্তিটি ভারতের ই-কমার্স খাতে সবচেয়ে বড় কেনাবেচার, যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে এটি নিজেদের করে পাওয়ার জন্য হয়তো সামনের বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে ওয়ালমার্টকে।ওয়ালমার্ট এখন ভারতে ২১টি বড় ধরনের স্টোর পরিচালনা করছে। তবে এখনো প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি ই-কমার্সকেন্দ্রীক হতে পারেনি।
ফ্লিপকার্টকে কিনে নেওয়ার পর প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালমার্টের গ্রস মার্চেন্ডাইচ ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ৭৫০ কোটি ডলার এবং নিট বিক্রি হয়েছে ৪৬০ কোটি ডলারের। এটাকে অনেকেই খুবই ইতিবাচক পরিবর্তনও দেখছে। যার ফলে অন্তত ৫০ শতাংশ করে প্রতিবছর বেড়েই চলেছে এর গ্রোথ।চুক্তি হলেও দুটি প্রতিষ্ঠান আগের নামেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসবে।গত বৃহস্পতিবার ওয়ালমার্ট ফ্লিপকার্টকে কিনে নেওয়ার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায়।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার