গত পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় এবছরও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচীতে ৪০ হাজার বই দিয়েছে বিকাশ। আজ মতিঝিল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের হাতে বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বইগুলো হস্তান্তর করেন।
একই সঙ্গে মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করে এবছরের বইপড়া কর্মসূচীরও উদ্বোধন করা হয় আজ। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আগ্রহী করে আলোকিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়তে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ‘দেশ ভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের বই পড়া কর্মসূচীতে’ ২০১৪ সাল থেকে যুক্ত আছে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আথিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। সারাদেশের প্রায় ২৫০০ স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রমের আওতায় আড়াই লাখেরও বেশি বইপড়ার সুযোগ পেয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অবঃ) শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম, মতিঝিল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুন নাহার শাহীন সহ প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বইপড়া কর্মসূচি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিচালিত হয়। প্রতি বছর ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন।
বই প্রদানের জন্য বিকাশকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “বই পড়লেই মানুষ বিকশিত হয় আলোকিত হয়। আগামী প্রজন্মের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে দিতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং বিকাশ যৌথভাবে আলোকিত আগামী গড়ার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। “
বিকাশের সিইও কামাল কাদীর বলেন, “বইপড়ার উৎসাহিত করার মত একটা অসাধারণ কার্যক্রমের অংশ হতে পেরে বিকাশ আনন্দিত। মানুষের উন্নয়নে,দেশের উন্নয়নে বিকাশের যে প্রত্যয়,সেই দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা এই কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছি।“
ব্র্যাক ব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানি ইন মোশন, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের অর্ন্তগত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল এর যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বিকাশ, ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত পেমেন্ট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দিয়ে আসছে।