বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্বে ব্যাংকটির নিজস্ব লাইব্রেরিতে ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি কর্নার’ স্থাপন করলো ব্রিটিশ কাউন্সিল। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সুবিধামতো সময়ে লাইব্রেরি থেকে বই পড়তে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরির মহাব্যবস্থাপক মো. মাহবুবার রহমান খান এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর, এক্সামিনেশনস সেবাস্তিয়ান পিয়ার্স উপস্থিত থেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন।
লাইব্রেরিতে সাম্প্রতিক সময়ের যুক্তরাজ্যের ‘বেস্ট টাইটেল অ্যাওয়ার্ড উইনিং’ সব সংগ্রহ রয়েছে। এ সেবার বিস্তৃতিতে এবং আরও বেশিসংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছাতে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি ও কালচারার সেন্টার স্যাটেলাইট লাইব্রেরির এ ধারণা নিয়ে এসেছে। পাঠকদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইব্রেরি কর্নারে ভাষা, কল্পকাহিনি ও সাহিত্য সহ নানা বিষয়ের চমৎকার সব বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠকদের জন্য এ কর্নার উদ্বোধন করেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এ লাইব্রেরি কর্নারের মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। কিছু বই রয়েছে যা শুধুমাত্র ব্রিটিশ কাউন্সিলের লাইব্রেরিতেই পাওয়া যায় এবং তারা আপনাকে বৈচিত্র্যময় জ্ঞানের জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে। এটা সত্যিকার অর্থেই বিস্ময়কর!’
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর এক্সামিনেশনস সেবাস্তিয়ান পিয়ার্স বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক পরিবারের অংশ হতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। এবং আমরা বিশ্বাস করি, আমরা আপনাদের সাথে যে যাত্রা শুরু করেছি, এ লাইব্রেরি কর্নার তারই একটি। ব্রিটিশ কাউন্সিল এ যাত্রাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক। আপনাদের সবাইকে বইয়ের জগতে জ্ঞান আহরণে স্বাগতম।’
বক্তব্যজুড়ে সকলেই সমাজের উন্নয়নে লাইব্রেরির ভূমিকার ওপরে গুরুত্বারোপ করেন। এরপর গভর্নরকে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি ও কালচারার সেন্টারের পক্ষ থেকে সম্মানজনক সদস্যপদ দেয়া হয়। গ্রুপ ছবি তোলার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।