বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে আজ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তিটি সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পগুলোকে সমর্থন করার জন্য করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সহায়তা স্বাস্থ্য, সুশাসন, মানবিক সহায়তা, অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি এবং জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে সহায়তা করা।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সাহাবউদ্দিন এবং ইউএসএআইডির পক্ষে সই করেন রিড জে অ্যাসচলিম্যান। অনুষ্ঠানে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অর্থ উপদেষ্টা জানান, মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আর্থিক খাতের সংস্কার, রাজস্ব, বাণিজ্য এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এই সহায়তা ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অংশ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। আজকের এই চুক্তি সেই চুক্তির ষষ্ঠ সংশোধনী, যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ২০২১ সালের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে মোট ৯৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা। এ পর্যন্ত পাঁচটি সংশোধনীর মাধ্যমে ৪২৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে, আর ষষ্ঠ সংশোধনীতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ২০ কোটি ২২ লাখ ডলার দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউএসএআইডি ও ইউএসডিএর মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে আসছে। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, সুশাসন ও খাদ্যনিরাপত্তা খাতে এখন পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।