বাজেট পাসের আগেই অপারেটরগুলো অনৈতিকভাবে গ্রাহকদের থেকে আদায় করা ৫ অর্থবছরের অর্থ ফেরতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক ই-মেইলের মাধ্যমে কমিশনে এ চিঠি পাঠান। একই সাথে অর্থ মন্ত্রণালয় ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়েও অনুলিপি পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে টেলিযোগাযোগ খাতে দফায় দফায় কর বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং সবচাইতে লক্ষণীয় বিষয়, বাজেট উপস্থাপনের দিবাগত রাত হতেই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রস্তাবকৃত শুল্ক গ্রাহকদের কাছে আদায় করতে শুরু করেছে। আমরা সাধারণত জানি, বাজেট উপস্থাপনের পর আলোচনা ও সংযোজন-বিয়োজনের পর ৩০ জুন পাস হয়। এরপর ১ জুলাই হতে তা কার্যকর হয়। বিগত কয়েক বছর যাবত এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন সংগ্রাম করেও আপনাদের বা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটেও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়। যার প্রতিবাদে ওই বছরের ১৭ জুন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন ও ২৫ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর করে আমরা বাজেট উপস্থাপনের দিন হতেই অপারেটরদের অতিরিক্ত কর আদায়ের বিষয়টি অবগত করেছিলাম।’
‘কিন্তু দুঃখের বিষয় এ নিয়ে কমিশনের কোনো প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করিনি। চলতি বাজেট উপস্থাপনের পর অপারেটররা একই কায়দায় গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় শুরু করেছে। অবশেষে গতকাল রোববার বিটিআরসি অপারেটরদের চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছে, অতিরিক্ত অর্থ কেন আদায় করা হচ্ছে? আমরা এ জন্য কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দাবি এবারসহ গত ৫ বছরে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাজেট পাসের আগে যে অর্থ আদায় করা হয়েছে, তা গ্রাহকদের ফেরত দেয়া হোক।’