যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেলারেন্স যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ ইংরেজিভাষিক দেশের বাজারে বাংলাদেশের উন্নয়নকৃত সফটওয়্যার সেবার বিক্রি বৃদ্ধিতে সহায়তা দেবে।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের অফিসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং অ্যাকসেলারেন্সের মধ্যে এ বিষয়ে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
বিসিসি’র লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স (এলআইসিটি) প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ এবং অ্যাকসেলারেন্স এর প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি হিলিয়ার্ড স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টীম লিডার সামি আহমেদ, অ্যাকসেলারেন্স এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিউ মরগান এবং চীফ ডেলভিারি কর্মকর্তা জিম মারাসিও সমঝোতা স্মারক বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অ্যাকসেলারেন্স যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ ইংরেজিভাষিক দেশের বাজারে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানীর উন্নয়নকৃত সফটওয়্যার সেবার বানিজ্যিকীকরণ ও বিক্রি বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে। অ্যাকসেলারেন্স বাংলাদেশি কোম্পানীগুলোর সফটওয়্যার উন্নয়নে কারিগরি দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করবে এবং তা দূর করায় প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
এ উপলক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন “ডিজিটাল বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতি রেখে সরকার দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নের জন্য একটি আইটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছে। তিনি বলেন, অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের দূর্গম ও দূরবর্তী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হচ্ছে এবং বর্তমানে দেশের ১৪০ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।
“মোবাইল ব্যাংকিং ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন গড়ে প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকাগুলির বেশির ভাগ ব্যাংকহীন পরিসেবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রতিদিনই প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে এবং এই দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, নীতিমালাসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে গত কয়েক বছরে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সেক্টরের কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।