দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য নামমাত্র মূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ দেবে সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। ইউজিসি পরিচালিত বিডিরেন প্লাটফর্ম ব্যবহারকারী দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পাবে। বর্তমানে ৪২টি পাবলিক ও ৬৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিডিরেন প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে।
ছাত্রছাত্রীরা জুম অ্যাপলিকশনের মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের টেলিটকের নেটওয়ার্কের আওতায় থাকতে হবে। প্রতিমাসে ১০০ টাকা রিচার্জের বিনিময়ে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। রিচার্জকৃত টাকা তার মূল একাউন্টে জমা হবে। এই টাকা ভয়েস কল ও ডাটার জন্য ব্যয় করা যাবে। অব্যবহিত টাকা পরবর্তী রিচার্জে যোগ হবে। তবে ১০০ টাকার নিচে রিচার্জ করলে এবং সিমে ন্যূনতম ডাটা না থাকলে এই সুবিধা ভোগ করা যাবে না।
শিক্ষার্থীরা যেন বিনামূল্যে অনলাইন এডুকেশন রিসোর্স ব্যবহার করতে পারে সেলক্ষ্যে বিডিরেন ২১ জুলাই টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ সব মোবাইল অপারেটরকে পত্র প্রেরণ করে। বিডিরেনের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে টেলিটক গত ২৮ আগস্ট একটি সম্মতিপত্র দিয়েছে।
টেলিটক জানায়, জাতীয় এ সংকটে বিডিরেনের মহতী এ উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছে টেলিটক। টেলিটক মনে করে এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশাল একটি অংশ অনলাইন ক্লাসের সময় তাদের নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, করোনা মহামারির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার এ উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী। নামমাত্র মূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ প্রদানের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসার জন্য তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
দেশের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমকে সচল রাখার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ দেয়ার উদ্যোগে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর প্রতি ইউজিসি চেয়ারম্যান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে স্বল্পখরচে ডিজিটাল ডিভাইসের এক্সেস এবং ইন্টারনেট সুবিধা পেতে পারে এ বিষয়ে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।