ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী পরিচালিত মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ১৫ এর সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে ১৮ জুলাই। পূর্বের মতো ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও সারা দেশের গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সিজন-১৫ এর আওতায় পণ্য কেনায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাকসহ নানান ক্রেতাসুবিধা দিয়েছে দেশীয় অন্যতম জনপ্রিয় ইলেকট্রনি· ব্র্যান্ড মার্সেল।
জানা গেছে, মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৫ এর আওতায় ঈদ অফারে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ টাকার ফ্রি পণ্যসহ বিভিন্ন ক্রেতাসুবিধা দেয়া হয়েছে। দেশের যেকোনো মার্সেল শোরুম থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কেনায় এসব সুবিধা পেয়েছেন গ্রাহক। পণ্য কেনার পর তা ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এরপর ক্রেতার দেয়া মোবাইল নাম্বারে এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্যাশব্যাকের পরিমাণ কিংবা ফ্রি পণ্য সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শোরুম থেকে প্রাপ্ত ক্যাশব্যাক অথবা ফ্রি পণ্য যথাসময়ে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৫।
সূত্রমতে, সিজন-১৫ এর আওতায় গত কোরবানি ঈদের আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন দুইজন ক্রেতা। এরা হলেন ময়মনসিংহের ফুলপুর পৌরসভার চরপাড়া এলাকার আখের শরবত বিক্রেতা মোহাম্মদ শামীন ও মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গৃহিণী মোছাম্মত সাগরিকা খাতুন। ঈদের আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে বিশাল অংকের টাকা পেয়ে ভাগ্য বদলে গিয়েছে তাদের। এছাড়া, লক্ষ লক্ষ টাকার পণ্য ফ্রি পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা।
মার্সেলের সিনিয়র এ·িকিউটিভ ডিরেক্টর ও হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ক্রেতাদের আস্থা ও ভালোবাসায় মার্সেল আজ দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। মানুষ দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করছে বলে দেশের টাকা দেশেই থাকছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের হাতে উচ্চ গুণগতমানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রেতাসুবিধাও দিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। যা কিনা শতভাগ বজায় রেখে চলেছে মার্সেল।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংর¶ণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের ¯^তস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই নিশ্চিত ক্যাশব্যাকসহ নানান সুবিধা দিয়ে থাকে মার্সেল কর্তৃপক্ষ।