মার্সেল ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনে ৫০ হাজার পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন। সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৬ শুরু করেছে অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড মার্সেল।
প্রতিবারের ন্যায় ক্যাম্পেইনের এই সিজনেও মার্সেল পণ্য ক্রয়ে থাকছে বিশেষ সুবিধা। সিজন-১৬ এর আওতায় দেশের যে কোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন কিনে স্ক্র্যাচ কার্ডে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন ক্রেতারা।
রয়েছে অসংখ্য মার্সেল পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। ২১ নভেম্বর থেকে এসব সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। ইতোমধ্যে সফলভাবে ক্যাম্পেইনের ১৫টি সিজন সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। এরই প্রে¶িতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-১৬ শুরু করলো মার্সেল। এর আওতায় ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক, ফ্রি পণ্যসহ বিভিন্ন ক্রেতাসুবিধার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত রোববার (২০ নভেম্বর, ২০২২) রাজধানীতে মার্সেল করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৬’ এর ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে এসব ক্রেতাসুবিধার কথা জানানো হয়।
এছাড়া ৩০ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত হট সেল ক্যাম্পেইনের আওতায় আকর্ষণীয় অঙ্কের নগদ ছাড়ে মার্সেলের নির্দিষ্ট মডেলের ফ্রিজ কেনার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও হুমায়ুন কবীর, প্লাজা ট্রেডস এর চিফ এ·িকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ রায়হান, সিনিয়র এ·িকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান ও আমিন খান, মার্সেলের এডভাইজার ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) ফিরোজ আলম, হেড অব বিজনেস ইন্টেলিজেন্স আরিফুল আম্বিয়া, ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তোফায়েল আহমেদ, হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও আল ইমরান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের যেকোনো মার্সেল শোরুম থেকে ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করার পাশাপাশি ক্রেতাদের স্ক্র্যাচ কার্ড দেয়া হবে।
সেই স্ক্র্যাচ কার্ডে ক্রেতারা পাবেন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক কিংবা মার্সেল পণ্য ফ্রি। সংশ্লিষ্ট শোরুম ক্রেতাদেরকে প্রাপ্ত ক্যাশব্যাক অথবা ফ্রি পণ্য বুঝিয়ে দেবে।
মার্সেলের এডভাইজার ও সিনিয়র এ·িকিউটিভ ডিরেক্টর ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ক্রেতাদের হাতে উন্নত মানের পণ্য তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল। তাই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় ক্যাশব্যাক, ফ্রি পণ্য দেয়ার এই উদ্যোগ।
এছাড়া মার্সেল ফ্রিজে ক্রেতারা ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টির পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি ও ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবার সুবিধা পাচ্ছেন। এসব সুবিধা থাকায় সারা দেশে মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
বর্তমানে বাজারে মার্সেলের প্রায় ২০০ মডেলের বিভিন্ন ধারণক্ষমতার ফ্রিজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, বিএসটিআই’র ৫ স্টার এনার্জি রেটিং, গ্লাস ডোর ও সাইড বাই সাইড ডোর মডেল।
মার্সেলের এসব ফ্রিজের দাম ১৪ হাজার ৯৯০ টাকা ৯২ হাজার ৯৯০ টাকার মধ্যে।
এদিকে বাজারে মার্সেলের রয়েছে বিভিন্ন মডেলের সাশ্রয়ী মূল্যের অটোমেটিক ফ্রন্ট লোড, অটোমেটিক টপ লোড এবং সেমি অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন।
কর্তৃপ¶ জানায়, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রিত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংর¶ণ করা হচ্ছে।
ফলে গ্রাহক ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের ¯^তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।