মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৫১ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশের স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় চার হাজার ১৬০ কোটি টাকা। তা ছাড়া একই প্রকল্পে আরো এক কোটি ডলার প্লোবাল ফিন্যান্সিং ফেসিলিটির (জিএফএফ) আওতায় অনুদান সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি। এর মাধ্যমে ‘ট্রান্সফরমিং সেকেন্ডারি এডুকেশন ফর রেজাল্ট অপারেশন (টিএসইআরও) শীর্ষক’ কর্মসূচিতে মোট ৫২ কোটি মার্কিন ডলার বিশ্বব্যাংক থেকে সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। স্থানীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় চার হাজার ৩১৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ধরে)।
গতকাল শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ বিষয়ে ঋণচুক্তি সই হয়। সরকারের পক্ষে ইআরডির সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজশ্রী পারালকার চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকারি ও উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে বিচ্ছিন্নভাবে আর প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না। টেকসই ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পাইলট সমন্বিত কর্মসূচি হিসেবে পাঁচ বছর মেয়াদি ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইডিপি)’ প্রণয়ন করে। এসইডিপি বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও অন্যান্য দাতা সংস্থাও আগ্রহ প্রকাশ করে। মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নের জন্য শিার উন্নতর মান, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও বর্ধিত দতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করাই এসইডিপির মূল উদ্দেশ্য। এসইডিপির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ইআরডির সচিব বলেন, বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষা খাত উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। যার ফলে দেশে দিন দিন শিক্ষার হার বাড়ছে। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান আরো উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
রাজশ্রী পারালকার বলেন, শিক্ষার জন্য এটা একটি সমন্বিত প্রকল্প। এ ঋণের মাধ্যমে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিগত কয়েক বছরে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে। দেশের উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে।