সম্প্রতি শেষ হলো মাইক্রোসফটের তৃতীয় বার্ষিক ‘সাউথ ইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস পার্টনার সামিট’। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ভারত, লাওস, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, নেদারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম; এ ১৪টি দেশের ১শ’ ৬০ জনের বেশি আঞ্চলিক/বৈশ্বিক পার্টনার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
থাইল্যান্ডে দু’দিনব্যাপী এ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশনে পার্টনাররা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, ব্যবসায়িক অগ্রাধিকার, আসন্ন নতুন সব পণ্য ও সার্ভিস রোডম্যাপ নিয়ে মাইক্রোসফটের আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার সুযোগ পান। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘উই আর বেটার টুগেদার’। সম্মেলনে মাইক্রোসফটের প্রতিনিধিরা এ অঞ্চলের জন্য মাইক্রোসফটের লক্ষ্য এবং পার্টনারদের আবশ্যিক ভূমিকার দৃঢ়তার ব্যাপারে ঘোষণা দেয়।
সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়সূচির মধ্যে ছিলো খাতসংশ্লিষ্ট প্রবণতা, এফওয়াই১ এর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়, পণ্য ও সেবা সমাধান এবং রূপান্তরের যাত্রায় আধুনিক পার্টনার। সম্মেলনে মাইক্রোসফট ইকোসিস্টেমের পার্টনারদের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় যারা ডোমেইন এক্সপার্টাইজ, সমাধান এবং মাইক্রোসফটের কো-সেলিং- এর মাধ্যমে লেনদেনের অংশীদারিত্ব থেকে অভিনব অংশীদারিত্বের দিকে রূপান্তর ঘটিয়েছে এবং তাদের বিশ্বের যেকোন প্রান্তে গ্রাহকদের কাছে পোঁছানোর সুযোগ করে দিয়েছে।
সম্মেলনে গত অর্থ বছরে বাজারে অসাধারণ প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের তিনজন পার্টনারকে পুরস্কৃত করা হয়। স্মার্ট টেকনোলজি (বিডি) ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাওয়ার্ড এবং করপোরেট প্রযুক্তি লিমিটেড ও আমরা টেকনোলজিস রিসেলার অ্যাওয়ার্ড পায়।
এ নিয়ে মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের সাউথইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস- এর জেনারেল ম্যানেজার সুক হুন চিয়াহ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সব দেশের সব খাতে মানুষ ও সংস্থার ক্ষমতায়নই আমাদের লক্ষ্য আর আমাদের এ লক্ষ্যই মাইক্রোসফটকে সবার থেকে আলাদা করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাইক্রোসফট সবসময়ই অংশীদারদের সাথে নিয়ে কাজ করে আসছে এবং মাইক্রোসফটের এ ইকোসিস্টেম স্থানীয় অর্থনীতির চালিকাস্বরূপ পাশাপাশি এ ইকোসিস্টেম ব্যাপক প্রবৃদ্ধির সূচনা করেছে। উদীয়মান দেশগুলোকে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে একসাথে আমাদের অভূতপূর্ব সুযোগ রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আরও বেশি কিছু অর্জনে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ ও সংস্থার ক্ষমতায়ন। এ অঞ্চলের ‘সিউকিউরিটি ও অ্যাকসেসিবিলিটি’র ওপরে আমাদের বিনিয়োগের লক্ষ্য আমাদের মিশনকে বাস্তবে রূপান্তর করা।’
মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের সাউথইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস- এর চিফ পার্টনার অফিসার আন ফ্যাম বলেন, ‘লেনদেনের অংশীদারিত্ব থেকে রূপান্তরমূলক অংশীদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাওয়াই ভবিষ্যৎ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সিইও যেমন বলেছেন, কোন বিষয়টি আমাদের একসাথে করেছে এটা সফলতা নয় বরং আমাদের ক্রেতারা কি অর্জন করেছেন এটাই সফলতা। আমাদের ক্রেতাদের সফলতা নিশ্চিতকরণে আমাদের অংশীদারেরা ক্রেতাদের কেন্দ্রে রেখেই তাদের রূপান্তরের যাত্রা শুরু করবে। বৃহত্তর সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতায় পৌঁছাতে আমাদের পার্টনাররা উদ্ভাবন ও রূপান্তরের দ্বারা উৎসাহিত অংশীদারিত্বকেই গ্রহণ করবে।’
এফওয়াই১৮ – এ অসাধারণ পারফরমেন্সের জন্য পার্টনারদের পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিতে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় বছরের মতো মাইক্রোসফট ‘সাউথ ইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটস পার্টনার সামিট’ আয়োজন করেছে। বার্ষিক এ পুরস্কার শীর্ষস্থানীয় পার্টনারদের মাইক্রোসফট প্রযুক্তির সহায়তায় ক্রেতাদের ডিটাল রূপান্তর আলিঙ্গনে তাদের নৈপুণ্যের স্বীকৃতিস্বরূপ।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘আমরা এ বছর বাংলাদেশ থেকে বিজয়ী পার্টনারদের স্বীকৃতি দিতে পেরে গর্বিত। যা আমাদের পার্টনার কমিউনিটি থেকে মেধাবী উদ্ভাবকদের বেরিয়ে আসারই প্রতিফলনস্বরূপ। পার্টনার প্রতিষ্ঠানরা অন্যান্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের একটি বড় অংশকে অদূর ভবিষ্যতে ক্লাউড, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মিক্সড রিয়ালিটি ও আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়তা করছে।’