মহাকাশ বিজ্ঞান, স্যাটেলাইট বানানোর দক্ষতা উন্নয়নে ও এই সম্পর্কিত বিভিন্ন আবিস্কারকে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য দেশে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হল ‘স্পেস ইনোভেশন সামিট’ । ঢাকার কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউশনে দিনব্যাপী এই আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসর ড. খন্দকার সিদ্দিক ই রাব্বানি।
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন ‘স্পেস টেকনোলোজি নিয়ে আমাদের দেশের তরুণদের আগ্রহ দেখে আমি মুগ্ধ, তিনি আশা প্রকাশ করেন এধরণের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে স্পেস বিষয়ক কাজ করার আগ্রহ তৈরি হবে যার ফলশ্রুতিতে আগামীতে বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি মহাকাশ সম্পর্কিত কার্যক্রম হবে’।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনেএকটি ওয়ার্কসপ ও ৭টি টেকনিক্যাল সেমিনার হয়েছে। সম্মেলনে দেশে ও দেশের বাইরে থেকে প্রায় ১৮ জন বক্তা বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ছিল মহাকাশ এ গবেষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম।
সম্মেলনে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন নাসার সাবেক সিস্টেম এডমিন আজাদুল হক, এম আই টি জিরো ল্যাব এর প্রধান মিজানুল চৌধুরী, জিরো গ্রাভিটিতে যাওয়া প্রথম বাংলাদেশি এফ আর সরকার, প্রফেসর সাজ্জাদ হুসাইন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ টিমের উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মাদ খলিলুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহিল কাফি, ইঞ্জিনিয়ার রাইহানা সামস ইসলাম অন্তরা সহ আর কয়েকজন।
সামিট এ ৩০ জন কে নিয়ে ন্যানো স্যাটেলাইট (ক্যান স্যাট) এর উপর হাতে কলমে একটি ওয়ার্কশপ করানো হয়। ব্র্যাক অন্বেষা টিম পরিচালিত দিনব্যাপী এই ওয়ার্কসপ শেষে ক্যান স্যাট টি ২০০ ফিট উপর থেকে প্যারাসুট এর মাধ্যমে ভুমিতে নামানো হয় এবং সে সময় গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বিভিন্ন ডাটা নেওয়া হয়।
প্রথমবারের মতো দেশে আয়োজিত ‘স্পেস ইনোভেশন সামিট’ নিয়ে আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এর প্রধান আরিফুল হাসান অপু বলেন স্যাটেলাইট প্রযুক্তি নিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাজের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের এই খাত সম্পর্কে জানানোই এই সামিটের মূল উদেশ্য। আমি চাই কোন এক সময় আমাদের শিক্ষার্থীরাই স্যাটেলাইট তৈরি করবে, এই কার্যক্রম সামনে ও অব্যাহত থাকবে।