ভবিষ্যতে গাড়ি উড়বে আকাশে- এমন এক ধারণার বাস্তব প্রতিফলন নিয়ে আসছে বিলাসবহুল স্পোর্টস কার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাস্টন মার্টিন’। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি তিন সিট যুক্ত এমন একটি গাড়ি উন্মোচন করেছে যা উড়তে সক্ষম। এটি ‘আকাশে ওড়ার স্পোর্টস কার’- এমনটাই জানিয়েছে তারা। রাস্তার যানজটকে অগ্রাহ্য করে বাজারে আসছে অভিনব প্রযুক্তির এই গাড়ি।এ ধরনের গাড়ির ধারণাকে এখনও কল্পবিজ্ঞানের অংশ বলে মনে করা হলেও আশা করা হচ্ছে, সামনের দিনে মানুষের ভ্রমণে এ ধরনের গাড়ি বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে।
ধারনা করা হচ্ছে, গাড়িটি বিলাসবহুল শ্রেণির হওয়ায় দামও হবে তুলনামূলক বেশি। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসবহুল উড়ক্কু গাড়ি মার্কেটে জায়গা করে নেবে বলে অ্যাস্টন মার্টিনের বিশ্বাস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ভার্টিকাল টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ভিটিওএল) টাইপের এ উড়ুক্কু গাড়িটি ঘণ্টায় ৩২২ কি.মি. গতিতে চলতে পারবে।
ভিটিওএল মানে হলো গাড়ির উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য কোনো ধরনের রানওয়ের প্রয়োজন হয় না। যে কোনো স্থান থেকে সোজা ওপরে উঠতে পারে এবং যে কোনো স্থানে নেমেও যেতে পারে। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোলস রয়েসের চিফ অব ফিউচার এয়ারক্র্যাফটস কনসেপ্টের ডেভিড ডেবনি জানান, গাড়িটি দেখে মনে হবে যেন এটি একটি ফাইটার জেট।
কিভাবে গাড়িটি চালানো হবে, তা জানিয়েছেন ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলী হেলেন অ্যাটকিনসন। তিনি বলেন, পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে কম্পিউটার দিয়ে পরিচালিত হবে গাড়িটি। এটি আপনা-আপনিই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈমানিক ও প্রযুক্তিবিদরা নতুন এক ধরনের ট্যাক্সি তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বৈদ্যুতিক এ ট্যাক্সিও উড়তে সক্ষম হবে। ট্যাক্সি তৈরির পাশাপাশি এয়ারবাস তৈরি করা হবে। আর এসব করা হবে সার্চ জায়ান্ট গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজের পৃষ্ঠপোষকতায়।
নতুন এ উড়ুক্কু ট্যাক্সির কথা জানিয়েছে রোলস রয়েস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বৈদুতিকভাবে উড্ডয়ন ও অবতরণে সক্ষম এ যানটি ঘণ্টায় ৪০০-৮০০ কিলোমিটার গতিতে চারজন ব্যক্তিকে বহন করতে সক্ষম হবে।