বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের সুপার ফ্ল্যাগশিপ মেট ৩০ প্রো’র প্রি-বুকিং শুরু হয়েছে। রোববার (০১ মার্চ, ২০২০) থেকে শুরু হয়ে প্রি-বুকিং চলবে বুধবার (০৪ মার্চ, ২০২০) পর্যন্ত। হুয়াওয়ে অনুমোদিত ব্র্যান্ডশপ ছাড়াও অনলাইন শপ দারাজ, পিকাবো এবং গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ারের আউটলেটে প্রি-বুক করা যাবে।
প্রি-বুকিংয়ে উপহার হিসেবে মিলছে হুয়াওয়ের প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির ফ্রিলেস ও ওয়্যারলেস চার্জার। আর গ্রামীণ ফোনের গ্রাহকদের জন্য রয়েছে ৮ জিবি ফ্রি ডেটা। বাংলাদেশের বাজারে ফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ৯৯,৯৯৯ টাকা।
রোববার ০১ মার্চ, রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে মেট ৩০ প্রো আনার ঘোষণা দেয় হুয়াওয়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রæপ (বাংলাদেশ) এর জিটিএম ডিরেক্টর বেয়ন্ড ঝেং, সেলস ডিরেক্টর জুনিয়র সালাউদ্দিন সানজি, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রæপ (বাংলাদেশ) এর সিনিয়র পাবলিক রিলেশনস ম্যানেজার সুমন সাহা।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রæপ (বাংলাদেশের) জিটিএম ডিরেক্টর বেয়ন্ড ঝেং বলেন, “বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হুয়াওয়ে মোবাইল সার্ভিসেস (এইচএমএস) সমর্থিত ফোন মেট ৩০ প্রো নিয়ে আসা হচ্ছে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ এ স্মার্টফোনটি দারুণ সব ফিচারের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে বেশ সমাদৃত হয়েছে। আশা করি, ফোনটি বাংলাদেশের গ্রাহকদের আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবে।”
হুয়াওয়ে মেট ৩০ প্রো’তে রয়েছে ৬.৫৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস এবং ওএলইডি হরিজন ডিসপ্লে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ এ স্মার্টফোনটি আইপি (ইনগ্রেস প্রটেকশন) ৬৮ সার্টিফাইড। ফলে ধুলা, ময়লা ও বালুরোধী ফোনটি প্রায় পাঁচ ফুট পানির নিচেও সুরক্ষিত থাকবে।
ফোনটির উন্নতমানের ক্যামেরা কনফিগারেশনের স্বীকৃতিও মিলেছে। ডিএক্সও মার্ক র্যাংকিংয়ে ১৩২ ফটো স্কোর নিয়ে র্যাংকিংয়ে উপরের দিকে রয়েছে মেট ৩০ প্রো।
ফোনটির পেছনে চারটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ৪০ মেগাপিক্সেলের দু’টি ক্যামেরা। এ ক্যামেরা দু’টির একটি সুপার-সেনসিং ও অপরটি সিনে ক্যামেরা। সিনে ক্যামেরাটির সাহায্যে খুবই কম আলোতেও ভিডিও ও ছবি ধারণ করা যাবে। পাশাপাশি আল্ট্রা ¯েøা-মোশন ও আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল টাইম-ল্যাপস ভিডিও ফিচার পাওয়া যাবে। সুপার-সেনসিং ক্যামেরা ব্যবহারের ফলে রাত ও দিনের যে কোনো ছবিতেই নিঁখুত প্রতিচ্ছবি পাওয়া যাবে।
এ দু’টি ক্যামেরা ছাড়াও রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো ক্যামেরা ও একটি থ্রিডি ডেপথ সেন্সর। পাওয়া যাবে ৩০ গুণ পর্যন্ত ডিজিটাল জুমিং সুবিধা। আরও থাকবে ৩ গুণ অপটিক্যাল জুম ও ৫ গুণ হাইব্রিড জুম। ফোনটির সামনে রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। যার মধ্যে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সলের একটি ক্যামেরা, একটি থ্রিডি ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা ও একটি সুইং জেসচার ক্যামেরা।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে তৈরি ইএমইউআই ১০ সফটওয়্যারে চলবে মেট ৩০ প্রো। বø্যাক ও স্পেস সিলভার এ দু’টি কালারের ফোনটিতে রয়েছে ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম। প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ের সর্বাধুনিক কিরিন ৯৯০ চিপসেট। হাই-পারফরমেন্সের এ চিপসেটটি ব্যবহারের ফলে লো-ল্যাটেন্সির পাশাপাশি ফোনটি হবে উচ্চগতির।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি। ৪০ ওয়াটের সুপারচার্জ সুবিধা থাকায় খুবই অল্প সময়ে দ্রæত চার্জ করা যাবে। হুয়াওয়ের এ স্মার্টফোনে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড থাকলেও গুগল প্লে স্টোর প্রি-ইন্সটল থাকবে না। প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো হুয়াওয়ে অ্যাপ গ্যালারি থেকে ডাউনলোড করা যাবে। হুয়াওয়ে অ্যাপ গ্যালারি সেবাকে সমৃদ্ধ করতে ইতোমধ্যেই ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি ।
হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রæপ:
বিশে^র প্রায় ১৭০টির বেশি দেশে ও স্থানে হুয়াওয়ে সৃষ্টিশীল আইটি পণ্য, সেবা ও সল্যুশনস ব্যবহার হয় যা বিশে^র মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে সেবা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি সুইডেন, রাশিয়া, ভারত ও চীনে হুয়াওয়ের মোট ১৪টি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) সেন্টার রয়েছে। হুয়াওয়ের তিনটি বিজনেস ইউনিটের মধ্যে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজি যারা কাজ করে স্মার্টফোন, পিসি, ট্যাবলেট, পরিধানযোগ্য ডিভাইস এবং ক্লাউড সেবা নিয়ে। বিশ^ব্যাপি টেলিকম খাতে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক এবং একইসঙ্গে গ্রাহকদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।