৭ দিনের মধ্যেই হোল্ডিং রিপোর্ট দিতে হবে। অব্যবহৃত ও আংশিক ব্যবহৃত সকল দাখিলা বই প্রত্যাহারের নির্দেশ। ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা কার্যকরে ভূমি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি।
পহেলা বৈশাখ থেকে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা সফলভাবে কার্যকর করার জন্য মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
নির্বিঘ্নে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য ৭ কার্যদিনের মধ্যে যেন ভূমি মালিক হোল্ডিং রিপোর্ট পান তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল।
অসাধু ব্যক্তিরা যেন প্রতারণামূলক কাজে লিপ্ত হতে না পারে সেজন্য পহেলা বৈশাখের পর ৭ কার্যদিনের মধ্যে ভূমি অফিসে সংরক্ষিত অব্যবহৃত ও আংশিক ব্যবহৃত সকল দাখিলা বই প্রত্যাহার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।
ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত ‘অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায় বিষয়ক নির্দেশাবলী’ শীর্ষক পরিপত্রটিতে মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তাদের জন্য আরও যেসব বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা আছে তা হচ্ছে: নাবালক ও প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে করণীয়, খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিকের নাম জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের সাথে মিল না থাকলে করণীয়, মহিলাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম ও রেকর্ডে স্বামীর নাম থাকলে করনীয়, মালিকের নামে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, ব্যক্তির ক্ষেত্রে আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, জমির ব্যবহার ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, সংস্থার ক্ষেত্রে আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, মওকুফ দাখিলা বিষয় ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, ভূমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যক্রমকে অধিকতর জনবান্ধব করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৯ মার্চ ২০২৩ তারিখ ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১লা বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ থেকে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, আগামী ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখ থেকে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা কার্যকর করার ব্যাপারে গতকাল ১২ এপ্রিল এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভূমি মন্ত্রণালয়।
১লা বৈশাখ ১৪৩০, ১৪ এপ্রিল ২০২৩, থেকে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা চালু হলে তা জনবান্ধব স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থাপনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে। একই সাথে আবহমান বাংলার ভূমি সংস্কারে যোগ হবে নতুন এক অধ্যায়।