চায়ের প্রতি আলাদা ভালোবাসা রয়েছে তাদের। আর সেই ভালোবাসাকে পুঁজি করেই ভিন্ন ধরনের কর্মজীবন শুরু করলেন তারা। ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুর শহরের এক প্রকৌশলী দম্পতি প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে শহরে একটি চায়ের দোকান দিলেন। তারা জীবনে ভিন্ন কিছু করার তাগিদ থেকেই এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন।নীতিন এবং পুজা বিয়ানি মহারাষ্ট্রের পুনেতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। প্রতি মাসে দু’জনের আয় ছিল ১৫ লাখ রুপি। কিন্তু এত ভালো চাকরি ছেড়ে দিয়ে স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দমত কিছু করতে চাইছিলেন তারা। তাই তারা ‘চায় ভিলা’ নামে একটি ক্যাফে দিয়েই নতুন কিছু শুরু করলেন। প্রায় পাঁচ মাসে আগে সিএ রোডে এই ক্যাফে খোলেন তারা। চায় ভিলাতে প্রায় ১৫ ধরনের চা-কফি পাওয়া যায়। সেখানে চা-কফির সাথে বিভিন্ন ধরনের নাস্তাও পাওয়া যায়। হোয়াটস অ্যাপ এবং জোমাটো অ্যাপের মাধ্যমে তারা চা-নাস্তার অর্ডার নিয়ে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের অফিস, ব্যাংক এবং হাসপাতালে চা-কফি দেয়ার জন্য বিশেষ কন্টেইনার রয়েছে। সেগুলোতে করেই চা-কফি সরবরাহ করা হয়।
নীতিন বিয়ানি বলেন, আমরা আরো লোকজনকে এই কাজে নিয়োগ দিতে চাই এবং আমাদের কাজের পরিসরকে আরও বাড়াতে চাই। এই ক্যাফেতে সব ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রায় ১০ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি। আমি আইবিএম এবং কগনিজেন্টের মতো প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছি। কিন্তু আমি এবং আমার স্ত্রী ভিন্ন ধরনের কিছু করতে চেয়েছি। সে কারণেই এই চায়ের ক্যাফে দিয়েছি আমরা। এখান থেকে আমরা প্রতি মাসে প্রায় ৫ লাখ রুপি আয় করছি।
এই চায়ের দোকান সম্পর্কে এক ক্রেতা বলেন, এখানে সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায় বলে এই ক্যাফেটা আমার খুব পছন্দের। আর এখানকার চাও বেশ স্বাস্থ্যসম্মত।
কেমন চলছে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দম্পতির চায়ের দোকান?
previous post