উড়ুক্কু গাড়িতে চড়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো উড়ুক্কু যান তৈরিতে উঠেপড়ে লেগেছে। ফক্সওয়াগন স্পোর্টস কার নির্মাতা এবার আগ্রহ দেখাচ্ছে উড়ুক্কু গাড়ি তৈরিতে। ফ্লাইং ট্যাক্সি বানাতে এর মধ্যে কাজ করছে অনেক প্রযুক্তি ও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।প্রতিযোগিতায় নামছে পোরশে। ফ্লাইং ট্যাক্সি ও রাইড শেয়ারিং সেবার সম্ভাবনাময় বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই এ খাতে নামার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ডেটলেভ ভন প্ল্যাটেন। জার্মান ম্যাগাজিনঅটোমোবিলওশকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন প্ল্যাটেন।প্ল্যাটেন বলেন, ‘এটা সত্যিই দারুণ হবে! আমি যদি জুফেনহাউসেন (পোরশে প্ল্যান্ট) থেকে স্টুডগার্ট এয়ারপোর্টে যাই, আমার অন্তত আধা ঘণ্টা সময় লাগে। যদি আমি সৌভাগ্যবান হই। উড়ে গেলে মাত্র সাড়ে তিন মিনিট লাগতে পারে।’রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, উড়ুক্কু গাড়ির নকশার জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে পারে পোরশে। প্রচলিত গাড়ি থেকে শুরু করে স্বচালিত গাড়িকে অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার ব্যবস্থার আওতায় আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছরে জেনেভা অটো শোতে পপ ডটআপ নামের একটি দুই আসনের উড়ুক্কু গাড়ি দেখিয়েছে গাড়ি নকশাকারী ইটালডিজাইন ও এয়ারবাস। শহরের যানজট এড়াতেই নকশা করা হয়েছে গাড়িটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পোরশের পরিকল্পনা অনুযায়ী উড়ুক্কু গাড়িটির কিছু নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হবে যাত্রীকে। কিন্তু এর জন্য কোনো পাইলট লাইসেন্স লাগবে না, কারণ এটির অনেক নিয়ন্ত্রণ হবে স্বয়ংক্রিয়।উড়ুক্কু গাড়ির বাজারে পোরশের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে ডেইমলার, লিলিয়াম জেট ও ইভলভোর নিয়ন্ত্রণাধীন ভলোকপ্টার, টেরাফুগিয়া ও ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জলবি অ্যাভিয়েশন।
পোরশের উড়ুক্কু গাড়ি
previous post