বই যেভাবে ভাঁজ করা যায় ভবিষ্যতে আইফোনকে সেভাবে মুড়িয়ে ভাঁজ করা যাবে। কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রযুক্ত বিশ্লেষকেরা সামনে ভাঁজ করা স্মার্টফোনের যুগ দেখতে পাচ্ছেন। বড় বড় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঁজ করা স্মার্টফোনের যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে। অ্যাপল কেন পিছিয়ে থাকবে। ভাঁজ করা স্মার্টফোনের পেটেন্ট করিয়েছে ।অ্যাপল এমন একটি ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত আইফোনের জন্য পেটেন্ট অনুমোদন পেয়েছে, যা বইয়ের মতো ভাঁজ করা ও খোলা যাবে। সম্প্রতি ভাঁজ করা স্মার্টফোন তৈরিতে অ্যাপল ও এলজি যৌথভাবে কাজ করছে—এমন খবর প্রকাশিত হয়। এরপর জানা গেল অ্যাপলের ভাঁজ করা স্মার্টফোনের জন্য পেটেন্ট পাওয়ার কথা। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসে অ্যাপল ভাঁজ করা স্মার্টফোনের জন্য পেটেন্ট আবেদন করেছিল। চলতি মাসেই ওই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।
অ্যাপলের ওই পেটেন্ট আবেদনে বলা হয়, একটি ইলেকট্রিক ডিভাইসে এমন একটি নমনীয় অংশ থাকতে পারে, যাতে ওই ডিভাইস ভাঁজ করা যাবে। এতে নমনীয় ডিসপ্লে থাকতে পারে। ওই নমনীয় ডিসপ্লেতে একটি ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত অংশ থাকবে। আগের প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপল ভাঁজ করার সুবিধাযুক্ত ওএলইডি ডিসপ্লের জন্য এলজির সঙ্গে কাজ করবে। সাধারণত আইফোনের ওএলইডি ডিসপ্লে প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের সঙ্গে কেনে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। তবে ভাঁজ করা স্মার্টফোনের তথ্য ফাঁস হওয়া ঠেকাতে এলজির সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, অ্যাপল কর্তৃপক্ষ ২০২০ সাল নাগাদ ভাঁজ করা স্মার্টফোন তৈরি শুরু করতে পারে। এর আগে এলজি তাদের নিজস্ব ভাঁজ করা ওএলইডি প্যানেল প্রটোটাইপ তৈরি ও তা টেকসই করতে কাজ করবে।
অবশ্য শুধু অ্যাপল বা স্যামসাং নয়, ভাঁজ করা স্মার্টফোন তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে চীনের হুয়াওয়ে । সম্প্রতি প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপের সিইও রিচার্ড ইয়ু ভাঁজ করা স্মার্টফোন তৈরির কথা জানিয়েছেন। আগামী বছর নাগাদ এ ফোন বাজারে দেখা যেতে পারে।