বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শেয়ারইট গ্রুপের ডিজিটাল কনটেন্ট শেয়ারিং ও স্ট্রিমিং অ্যাপ শেয়ারইট বৈশ্বিকভাবে ভলিউম এবং নন-গেমিং ক্যাটাগরির পাওয়ার র্যাংকিংয়ে মিডিয়া সোর্স হিসেবে চার নম্বর অবস্থান অর্জন করেছে। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি ইন-অ্যাপ পার্চেজ (আইএপি) সূচকের সকল ক্যাটাগরিতে র্যাংকিংয়ের সাত নম্বরে পৌঁছেছে। এ অর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের ব্যবহারের ফলে বৈশ্বিক রিটেনশন সূচকের সকল ক্যাটাগরিতে আট নম্বর অবস্থান অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৈশ্বিক রিটেনশন ও ইন-অ্যাপ পার্চেজ এর গেমিং ক্যাটাগরিতে শেয়ারইট র্যাংকিংয়ের শীর্ষ অবস্থানে পৌঁছেছে, যার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ক্যাজুয়াল ও মিডকোর গেমিং এর মতো ক্যাটাগরিতেও অবস্থান গড়ে নিলো অ্যাপটি। মোবাইল অ্যাডভার্টাইজিংয়ের টপ মিডিয়া সোর্স অ্যাপসফ্লায়ার (মার্কেটিং মেজারমেন্ট ও এক্সপেরিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম, যা চলতি সপ্তাহে তাদের পারফরমেন্স সূচকের ১৪ তম সংস্করণ প্রকাশ করেছে) এ র্যাংকিং উন্মোচন করেছে। লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বাজারে আর্থিক বিনিয়োগের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে শেয়ারইট প্রথমবারের মতো গত বছরের প্রথম অর্ধের তুলনায় (ফাইন্যান্স-ইনভেস্টমেন্ট ভলিউম ক্যাটাগরির অধীনে) রিটেনশন সূচকে শীর্ষ তিনে পৌঁছেছে এবং আইএপি সূচকে শীর্ষ পাঁচ নম্বর অবস্থান অর্জন করে।
নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী ও ব্র্যান্ডিংকে অগ্রাধিকার দেয়ার কারণে মোবাইল মার্কেটিয়ারদের পছন্দের মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে শেয়ারইট। ফলে, প্রবৃদ্ধিশালী ইকোসিস্টেম তৈরিতে এ অ্যাপটি যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে এ র্যাংক তার প্রমাণ। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে স্টার্টআপ এ সব প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতে শেয়ারইট ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে গেমিং ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠান। শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া আউটলেটটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান বাজারে ডিজিটাল ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে নিশ্চিত করতে করতে সচেষ্ট রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাধা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সকল ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই এটি সম্ভব হবে। এ মার্কেটগুলোতে ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর রিচ ও ডিজিটাল পরিষেবা আরো বেড়ে যাবে। সময়ের সাথে সাথে এ প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করেছে; কারণ, ব্যবহারকারীরা এর মাধ্যমে দ্রুতগতিতে ফাইল হস্তান্তর করতে পারছে, নতুন অ্যাপ ব্যবহার (যেসব ব্যবহারকারী তাদের ব্যাংকিং ও অর্থ সংক্রান্ত চাহিদা পূরণ করবে) এবং মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কমিউনিটির মানুষকেও সুপারিশ করবে।
এ নিয়ে শেয়ারইট গ্রুপের পার্টনার ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কারাম মালহোত্রা বলেন, “বিশ্বজুড়ে উদীয়মান বাজারে মোবাইল গেমিং ও ডিজিটাল পেমেন্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে; এ বিষয়টিকে সামনে এগিয়ে নিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। ২০২১ সালে ব্যবহারকারীদের গেমিং অ্যাপ ব্যবহার ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে ১১৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মতো অঞ্চলে স্মার্টফোন বিশ্বের ফিনটেক এর বিষয়কে ত্বরাণ্বিত করছে। নিওব্যাংক, কনজ্যুমার লেনডিং ফার্ম, পেমেন্টস ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর আবির্ভাব এ বিষয়টিকে সম্ভব করেছে। এ বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমরা গেমিং অ্যাপ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি, যা উদীয়মান বাজারে ব্যবহারকারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।”
শেয়ারইটের প্রাইমারি ফিচার হলো পিয়ার-টু-পিয়ার ফাইল হস্তান্তর, যা ব্যবহারকারীদের ফাইল, ছবি, মিউজিক সহ অন্যান্য ফিচার সক্রিয় ইন্টারনেট কিংবা ব্লুটুথ সংযোগ ব্যবহার ছাড়াই এ বিষয়গুলো করা যাবে। গুগল প্লে এর প্রথম অ্যাপ চ্যানেল পার্টনার হিসেবে এটি পিয়ার-টু-পিয়ার অফলাইন অ্যাপ শেয়ারিং এর মাধ্যমে সুরক্ষিত অ্যাপ্লিকেশন হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
দ্রুত গতির ফাইল শেয়ারিং ফিচারের মাধ্যমে, শেয়ারইট ব্যবহারকারীদের মেমোরির জায়গা সেইভ করতে সাহায্য করবে; ফলে, তাদের অন্যান্য টুল অ্যাপ ডাউনলোডের প্রয়োজন পড়বে না। অ্যাপটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফোন ক্লিনার, ফোন বুস্টার, ব্যাটারি সেভার, ফাইল ম্যানেজার ও গেম রিসোর্স ফাইল ট্রান্সফার, যা ব্যবহারকারীদের উন্নত স্মার্টফোন ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
শেয়ারইট গ্রুপ বৈশ্বিকভাবে পেমেন্ট সল্যুশন পেয়ারম্যাক্স চালু করেছে, যা একটি সুরক্ষিত, নির্ভরশীল ও সহজ পেমেন্ট পরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বিকাশে শেয়ারইট গ্রুপ কাজ করছে, যা উদীয়মান বাজারে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বিভিন্ন পথ উন্মোচন করেছে এবং একইসাথে উন্নত বিক্রির অভিজ্ঞতাও নিশ্চিত করবে।
সামনের দিনগুলোতে, শেয়ারইট গ্রুপ এর দক্ষতা ও ওপেন সিস্টেম সল্যুশনের মাধ্যমে অ্যাডভার্টাইজিং প্ল্যাটফর্ম এবং গ্লোবাল পেমেন্ট সল্যুশন একীভূত করবে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক অ্যাডভার্টাইজিংয়ের ক্লোজড লুপের বিষয়গুলোকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাবে।